মডেল টেস্ট
আমার জেএসসি পরীক্ষা চলছে। তাই আম্মু সেদিন বললেন, ‘তোমার না পরীক্ষা? যাও, মডেল টেস্ট দিতে থাকো।’ আমি খুব লক্ষ্মী মেয়ের মতো সুন্দর জামা পরে সেজেগুজে আম্মুর কাছে গেলাম। আম্মু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এভাবে সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছ?’ হাসিমুখে উত্তর দিলাম, ‘ওমা! তুমিই না বললে মডেল টেস্ট দিতে? তাই মডেল সেজে মডেল টেস্ট দিচ্ছি। এবার মার্কস দাও।’
ফারহাত মৃত্তিকা
থ্রিডি অ্যাসাইনমেন্টস্কুলে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আমাদের অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়। আমরা সব বন্ধু খেটেখুটে অ্যাসাইনমেন্ট করে নিয়ে যাই। শুধু নিলয় সব অ্যাসাইনমেন্টই গুগল-উইকি ঘেঁটে কপি–পেস্ট মেরে নিয়ে যায়। ও তো ধরা পড়েই না, বরং স্যার ওর অ্যাসাইনমেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কদিন আগেও নিলয় তা–ই করল। সবার অ্যাসাইনমেন্ট দেখে নিলয়কে ডাক দিলেন স্যার। কাছে যেতেই ওকে অ্যাসাইনমেন্টটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এখানে ক্লিক করো তো।’ নিলয় ব্যাপারটা ধরতে না পেরে বলল, ‘কোথায় স্যার? কোথায় ক্লিক করব?’ স্যার প্রায় ওর চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন, ‘এই যে খাতার শেষে লেখা Click here to see the full page, এইখানে ক্লিক করো।’ নিলয় উত্তর দিল, ‘স্যার, আমি আসলে থ্রিডি অ্যাসাইনমেন্ট বানাইছিলাম, পৃষ্ঠাটায় পানি পড়ছিল আর তাতেই থ্রিডি ইফেক্টটা নষ্ট হয়ে গেছে!’ নিলয়ের প্রত্যুত্তর ওকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে পারলেও অ্যাসাইনমেন্টে ডাব্বা পাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।
শেখ সিয়াম রউফ
আফসোস
এলাকার মেধাবী বড় ভাই নামকরা এক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে গেলেন। এরপর তাঁর পা আর মাটিতে পড়ে না। একে–ওকে নানান ধরনের উপদেশ–পরামর্শ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। একদিন পাড়ার এক বয়সী চাচা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তা বাবা, কোথায় ভর্তি হলে?’ বড় ভাই খুব বিনয়ের সঙ্গে উত্তর দিলেন, ‘চাচা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে।’ চাচা হতাশ হয়ে বললেন, ‘তোমার না বুয়েটে পড়ার শখ ছিল? বুয়েটে চান্স পাও নাই, না? মন খারাপ কইরো না, যেটাতে আছো সেইটাও খারাপ না!’
সাইয়েদুল আবরার
আমার জেএসসি পরীক্ষা চলছে। তাই আম্মু সেদিন বললেন, ‘তোমার না পরীক্ষা? যাও, মডেল টেস্ট দিতে থাকো।’ আমি খুব লক্ষ্মী মেয়ের মতো সুন্দর জামা পরে সেজেগুজে আম্মুর কাছে গেলাম। আম্মু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এভাবে সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছ?’ হাসিমুখে উত্তর দিলাম, ‘ওমা! তুমিই না বললে মডেল টেস্ট দিতে? তাই মডেল সেজে মডেল টেস্ট দিচ্ছি। এবার মার্কস দাও।’
ফারহাত মৃত্তিকা
থ্রিডি অ্যাসাইনমেন্টস্কুলে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আমাদের অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়। আমরা সব বন্ধু খেটেখুটে অ্যাসাইনমেন্ট করে নিয়ে যাই। শুধু নিলয় সব অ্যাসাইনমেন্টই গুগল-উইকি ঘেঁটে কপি–পেস্ট মেরে নিয়ে যায়। ও তো ধরা পড়েই না, বরং স্যার ওর অ্যাসাইনমেন্টের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কদিন আগেও নিলয় তা–ই করল। সবার অ্যাসাইনমেন্ট দেখে নিলয়কে ডাক দিলেন স্যার। কাছে যেতেই ওকে অ্যাসাইনমেন্টটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এখানে ক্লিক করো তো।’ নিলয় ব্যাপারটা ধরতে না পেরে বলল, ‘কোথায় স্যার? কোথায় ক্লিক করব?’ স্যার প্রায় ওর চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন, ‘এই যে খাতার শেষে লেখা Click here to see the full page, এইখানে ক্লিক করো।’ নিলয় উত্তর দিল, ‘স্যার, আমি আসলে থ্রিডি অ্যাসাইনমেন্ট বানাইছিলাম, পৃষ্ঠাটায় পানি পড়ছিল আর তাতেই থ্রিডি ইফেক্টটা নষ্ট হয়ে গেছে!’ নিলয়ের প্রত্যুত্তর ওকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে পারলেও অ্যাসাইনমেন্টে ডাব্বা পাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি।
শেখ সিয়াম রউফ
আফসোস
এলাকার মেধাবী বড় ভাই নামকরা এক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকে গেলেন। এরপর তাঁর পা আর মাটিতে পড়ে না। একে–ওকে নানান ধরনের উপদেশ–পরামর্শ দিয়ে বেড়াচ্ছেন। একদিন পাড়ার এক বয়সী চাচা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তা বাবা, কোথায় ভর্তি হলে?’ বড় ভাই খুব বিনয়ের সঙ্গে উত্তর দিলেন, ‘চাচা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে।’ চাচা হতাশ হয়ে বললেন, ‘তোমার না বুয়েটে পড়ার শখ ছিল? বুয়েটে চান্স পাও নাই, না? মন খারাপ কইরো না, যেটাতে আছো সেইটাও খারাপ না!’
সাইয়েদুল আবরার
0 comments:
Post a Comment