
পাল্টাচ্ছে আবহাওয়া। দিনের তাপমাত্রা এখন থাকছে সহনীয় পর্যায়ে। রাতের তাপমাত্রাও কমে এসেছে বেশ। হিমেল হাওয়া কখনো কখনো জানান দিচ্ছে, শীত আসছে।
কেউ ভাবেন গরমে ব্রণ বাড়ে। কেউ আবার ভাবেন শীতকালে ব্রণের প্রবণতা বাড়ে। শীতল আবহাওয়ার সঙ্গে ব্রণের সম্পর্ক প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্মরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হরষিত কুমার পাল। তিনি বলেন, শীতের সঙ্গে ব্রণের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তবে শীতের সময় ব্যবহৃত প্রসাধনীর কারণে কখনো কখনো ব্রণ হতে পারে।
ব্রণ নিয়ে কথা
মূলত গরম আর রোদের সময়েই ব্রণের সমস্যা বেশি হয়। ত্বকের তৈলাক্ত ভাবের কারণেও হয়ে থাকে ব্রণ। শীতল আবহাওয়ায় ব্রণ বাড়ে, এমন কথার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে আবহাওয়ায় শীতের ছোঁয়া আসার ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যেসব পরিবর্তন আসে, সেগুলোর কারণে ব্রণ হতে পারে।
প্রসাধনে সাবধান
শীতে নানা ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার বেড়ে যায়। শীতের শুষ্কতা থেকে ত্বককে বাঁচাতে ব্যবহৃত এসব পণ্যের কারণে কারও কারও ব্রণ হতে পারে। তাই এগুলো ব্যবহারে থাকতে হবে সতর্ক। কোন ধরনের ত্বকের জন্য কোন ধরনের প্রসাধনী উপযোগী, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোনো প্রসাধনী ত্বকে মানিয়ে না গেলে সেটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কেউ কেউ আবার প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়।
ত্বক রাখুন পরিষ্কার
শীতের সময় প্রাকৃতিক কারণেই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির, তাঁদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও এ সময় খানিকটা কমে আসে। তার পরও ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। শীতের সময় পানি ঠান্ডা থাকে বলে মুখ ধোয়া থেকে বিরত থাকলে চলবে না। সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করা না হলে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। ত্বক পরিষ্কার করতেও এমন সামগ্রী ব্যবহার করা উচিত, যা ত্বকের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যায়।
0 comments:
Post a Comment