বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরকে আরো সুসংগঠিত করতে যাত্রা শুরু
করল ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। গত ৮ নভেম্বর জাতীয়
প্রেস কাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের কার্যনির্বাহী
কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক
মিডিয়ার সাংবাদিকেরা এবং বিভিন্ন ই-কমার্স ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের
উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ই-ক্যাবের ল্য, উদ্দেশ্য ও
ভবিষ্যৎ কর্মসূচি এবং বাংলাদেশের ই-কমার্সের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও
বিরাজমান সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের সচিব এন আই খান উপস্থিত থেকে ই-কমার্স সেক্টরের সাথে একাত্মতা
ঘোষণা করেন।
এন আই খান বলেন, বর্তমান বিশ্বে ই-কমার্সের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে
কিছু বলার প্রয়োজন নেই। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আন্তরিক এবং
ই-কমার্স ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে
ই-কমার্সকে ঢাকার বাইরে ৬৪টি জেলায় ও ৬৮ হাজার গ্রামে ছড়িয়ে না দেয়া
পর্যন্ত আমাদের সবাইকে একত্রে চেষ্টা করতে হবে।
ই-ক্যাবের সহসভাপতি সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস তার স্বাগত বক্তব্যে
বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের বর্তমান অবস্থা ও এর উন্নয়নে ই-ক্যাবের
প্রয়োজনীয়তা সবার সামনে তুলে ধরেন। ই-ক্যাবের সভাপতি রাজিব আহমেদ সভায় মূল
প্রবন্ধ পাঠ করেন। তিনি তার বক্তব্যে ই-ক্যাবের ল্য, উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ
কর্মসূচি এবং বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি
একটা সুন্দর স্বপ্ন থেকে। আমরা এমন এক বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে প্রতিটি
গ্রামের মানুষ অনলাইনে তাদের পণ্য কেনা-বেচা করবে। আমাদের ট্যুরিজম সেক্টরে
ই-কমর্সের ছোঁয়া লাগুক। আমরা চাই দেশের ৬৪ জেলায়ই ই-কমার্স ছড়িয়ে পড়ুক।
কয়েক কোটি লোক প্রতিদিন অনলাইনে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেনাকাটা করবে।
কয়েক বিলিয়ন ডলারের বাজার হোক ই-কমার্স বাংলাদেশে। দেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত
সব পণ্য অনলাইন শপিং সাইটের মাধ্যমে চলে যাক সারা বিশ্বে।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল জানান, ই-ক্যাবকে নিয়ে
আমাদের ল্য হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব ই-কমার্স কোম্পানি ছড়িয়ে
রয়েছে তাদের সবার প্রতিনিধিত্ব করবে ই-ক্যাব। ই-ক্যাবের ল্য ও উদ্দেশ্যগুলো
অর্জনের জন্য বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা ই-কমার্সের
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করবে। কমিটিগুলো হচ্ছেÑ ই-কমার্স পলিসি অ্যান্ড
গাইডলাইন, ই-পেমেন্ট অ্যান্ড ট্রানজ্যাকশন, কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ফ্রড
ম্যানেজমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, গ্রামীণ ই-কমার্স, উদ্যোক্তা উন্নয়ন,
গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ই-কমার্স সচেতনতা, ই-সিকিউরিটি, ই-ব্যাংকিং
অ্যান্ড মোবাইল কমার্স, ফেসবুক কমার্স (এফ কমার্স), ডিজিটাল কন্টেন্ট,
ডেলিভারি সার্ভিস, ডিজিটাল মার্কেটিং, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন, কোয়ালিটি
ইমপ্রুভমেন্ট, নারী উদ্যোক্তা এবং ই-কমার্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কটিং,
ই-ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল, টেলিমেডিসিন এবং ই-হেলথ।
0 comments:
Post a Comment