ন্যানো টেকনোলজি বা ন্যানো-প্রযুক্তি। কথাটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সিলিকন চিপসহ নানা ধরণের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। বিজ্ঞানের জগতে ন্যানো-প্রযুক্তির আগমন খুব বেশিদিনের নয় এটি আমরা সবাই জানি। কিন্তু কেউ যদি আপনাকে ১৬০০ বছর আগের কোন এক নিদর্শন দেখায় আর বলে সেটিও ন্যানো-প্রযুক্তির নিদর্শন, তবে নিশ্চয়ই আপনি সেই ব্যক্তিকে নিয়ে হাসাহাসি করবেন। হাসার আগে সেই প্রাচীন নিদর্শনটি কি একবার জেনেই দেখুন না।
এই নিদর্শনটি হলো একটি প্রাচীন গবলেট। গবলেট হলো লম্বা স্ট্যান্ড যুক্ত কাচের গ্লাস যাতে পানীয় রাখা হয়। এই গবলেটটির বিশেষত্ব হচ্ছে যখন এটির সামনের দিকটায় আলো ফেলা হয় তখন এটিকে দেখতে মনে হয় সবুজ রঙের। আবার যখন এটির পেছনের দিকে আলো ফেলা হয়, তখন এর রঙ হয়ে যায় লাল! প্রাচীন এই গবলেটের উপর এক রাজার ছবি অঙ্কিত আছে, যার নাম লিকারগাস(Lycurgus)। থ্রেসের এই রাজার নাম অনুসারে এই গবলেট বা কাপকে বলা হয় ‘লিকারগাস কাপ’। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই কাপ বা গবলেট তার পরিবর্তনশীল দ্বৈত রঙের জন্য বিজ্ঞানীদের কাছে ছিল এক রহস্যময় নিদর্শন।
ন্যানো প্রযুক্তি ১৬০০ বছর আগের ন্যানো প্রযুক্তি
পরবর্তীতে এই লিকারগাস কাপ বা গবলেটের এরকম দুই ধরণের রঙ প্রদর্শনের ব্যপারটি বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন। এবং বুঝতে পেরে অবাক হয়ে যান। এই ১৬০০ বছর আগের রোমান সাম্রাজ্যের নিদর্শনটির এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণ আর কিছুই নয়, ন্যানো-প্রযুক্তি! বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেই সময়ের মানুষরা কাঁচের সাথে রুপা ও সোনা মিশিয়ে নিত। তারপর তাদেরকে এমনভাবে গুঁড়ো করতো যেন তাদের প্রতিটি কণার আকৃতি হয় ৫০ ন্যানোমিটারেরও কাছাকাছি। আরো সহজভাবে বললে, আমরা যে খাবার লবণ খাই, তার প্রতিটি দানার এক হাজার ভাগের এক ভাগের সমান ছিল এই গবলেট তৈরিতে ব্যবহৃত কণাগুলো। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ ইয়ান ফ্রিস্টোন বলেন, ‘এই মহামূল্যবান ধাতুগুলোর এত সূক্ষ্ম মিশ্রণ দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, প্রাচীন রোমকরা জানতো তারা কি তৈরি করছে। একটি ‘অসাধারণ’ সৃষ্টি।“
কিন্তু কিভাবে এই প্রাচীন ন্যানো-প্রযুক্তি কাজ করতো? যখন এই গবলেটের উপর আলো পড়তো তখন এটিতে থাকা ধাতব ইলেকট্রন গুলো উদ্দীপিত হয়ে কাঁপতে শুরু করে। এই কম্পন এমনভাবে হয় যাতে দর্শকের তাকানোর অবস্থান সাপেক্ষে এর রঙ একেক সময় একেক রকম হয়।
ইলিনয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাং লোগান লিউ বলেন, “রোমানরা জানতো কিভাবে এই অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা ন্যানো-পার্টিক্যাল ব্যবহার করে চমৎকার সব শিল্পকর্ম তৈরি করা যায়।“ বিজ্ঞানীদের ধারণা কাপের বা গবলেটের গায়ের ধাতব ইলেকট্রনের উপর এতে রাখা পানীয়ের প্রভাব পড়তো। যে কারণে গবলেটের রঙ একেক সময় একেক রকম হতো। যদিও তারা আসল গবলেটের উপর এ ধরণের কোন পরীক্ষা চালাতে পারেন নি।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন,ন্যানো-পদার্থ বা পার্টিক্যালের এই ধরণের বৈশিষ্ট্যকে ভবিষ্যতে হয়তো চিকিৎসাবিজ্ঞানেও কোনভাবে ব্যবহার করা যাবে। ১৯৫০ সাল থেকে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে এই গবলেটটি সংরক্ষিত আছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের কথার সাথে একমত হয়ে বলা যায়, “আমাদের এখনো আমাদের পূর্বসূরিদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।“ ব্রিটিশ মিউজিয়ামের মতে, লিকারগাস কাপের কাঁচটিই এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে একমাত্র দ্বৈত রঙ প্রদর্শনকারী কাঁচ।
এই নিদর্শনটি হলো একটি প্রাচীন গবলেট। গবলেট হলো লম্বা স্ট্যান্ড যুক্ত কাচের গ্লাস যাতে পানীয় রাখা হয়। এই গবলেটটির বিশেষত্ব হচ্ছে যখন এটির সামনের দিকটায় আলো ফেলা হয় তখন এটিকে দেখতে মনে হয় সবুজ রঙের। আবার যখন এটির পেছনের দিকে আলো ফেলা হয়, তখন এর রঙ হয়ে যায় লাল! প্রাচীন এই গবলেটের উপর এক রাজার ছবি অঙ্কিত আছে, যার নাম লিকারগাস(Lycurgus)। থ্রেসের এই রাজার নাম অনুসারে এই গবলেট বা কাপকে বলা হয় ‘লিকারগাস কাপ’। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই কাপ বা গবলেট তার পরিবর্তনশীল দ্বৈত রঙের জন্য বিজ্ঞানীদের কাছে ছিল এক রহস্যময় নিদর্শন।
ন্যানো প্রযুক্তি ১৬০০ বছর আগের ন্যানো প্রযুক্তি
পরবর্তীতে এই লিকারগাস কাপ বা গবলেটের এরকম দুই ধরণের রঙ প্রদর্শনের ব্যপারটি বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন। এবং বুঝতে পেরে অবাক হয়ে যান। এই ১৬০০ বছর আগের রোমান সাম্রাজ্যের নিদর্শনটির এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণ আর কিছুই নয়, ন্যানো-প্রযুক্তি! বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেই সময়ের মানুষরা কাঁচের সাথে রুপা ও সোনা মিশিয়ে নিত। তারপর তাদেরকে এমনভাবে গুঁড়ো করতো যেন তাদের প্রতিটি কণার আকৃতি হয় ৫০ ন্যানোমিটারেরও কাছাকাছি। আরো সহজভাবে বললে, আমরা যে খাবার লবণ খাই, তার প্রতিটি দানার এক হাজার ভাগের এক ভাগের সমান ছিল এই গবলেট তৈরিতে ব্যবহৃত কণাগুলো। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষক ও প্রত্নতত্ত্ববিদ ইয়ান ফ্রিস্টোন বলেন, ‘এই মহামূল্যবান ধাতুগুলোর এত সূক্ষ্ম মিশ্রণ দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, প্রাচীন রোমকরা জানতো তারা কি তৈরি করছে। একটি ‘অসাধারণ’ সৃষ্টি।“
কিন্তু কিভাবে এই প্রাচীন ন্যানো-প্রযুক্তি কাজ করতো? যখন এই গবলেটের উপর আলো পড়তো তখন এটিতে থাকা ধাতব ইলেকট্রন গুলো উদ্দীপিত হয়ে কাঁপতে শুরু করে। এই কম্পন এমনভাবে হয় যাতে দর্শকের তাকানোর অবস্থান সাপেক্ষে এর রঙ একেক সময় একেক রকম হয়।
ইলিনয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাং লোগান লিউ বলেন, “রোমানরা জানতো কিভাবে এই অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা ন্যানো-পার্টিক্যাল ব্যবহার করে চমৎকার সব শিল্পকর্ম তৈরি করা যায়।“ বিজ্ঞানীদের ধারণা কাপের বা গবলেটের গায়ের ধাতব ইলেকট্রনের উপর এতে রাখা পানীয়ের প্রভাব পড়তো। যে কারণে গবলেটের রঙ একেক সময় একেক রকম হতো। যদিও তারা আসল গবলেটের উপর এ ধরণের কোন পরীক্ষা চালাতে পারেন নি।
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন,ন্যানো-পদার্থ বা পার্টিক্যালের এই ধরণের বৈশিষ্ট্যকে ভবিষ্যতে হয়তো চিকিৎসাবিজ্ঞানেও কোনভাবে ব্যবহার করা যাবে। ১৯৫০ সাল থেকে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে এই গবলেটটি সংরক্ষিত আছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের কথার সাথে একমত হয়ে বলা যায়, “আমাদের এখনো আমাদের পূর্বসূরিদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।“ ব্রিটিশ মিউজিয়ামের মতে, লিকারগাস কাপের কাঁচটিই এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে একমাত্র দ্বৈত রঙ প্রদর্শনকারী কাঁচ।
0 comments:
Post a Comment