728x90 AdSpace

Latest News
Monday, 29 June 2015

গ্লোবাল জিডিপি'তে অবদান রেখেছে মোবাইল অ্যাপস

গ্লোবাল জিডিপি'তে অবদান রেখেছে মোবাইল অ্যাপস
গ্লোবাল জিডিপি'তে অবদান রেখেছে মোবাইল অ্যাপস

৯ জুন সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তির বিভাগের উদ্যোগে ’জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অ্যাপস প্রশিক্ষক ও সৃজনশীল অ্যাপস উন্নয়ন’ কর্মসূচির অধীনে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য্য অধ্যাপক এম রুহুল আমীন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্মসূচির পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব জি. ফকরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে কর্মসূচির বাস্তবায়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইএটিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. মুবিন খান, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ডিন মোঃ নওসের ওয়ান, দিনাজপুর জেলার এডিসি জনাব তৌফিক ইমাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডঃ শাহাদাত হোসাইন খান লিখন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কবু ঘড়ঃব উপস্থাপন করেন ইএটিএল এর কনসালটেন্ট ডঃ খন্দকার এ মামুন।
বাংলাদেশ সরকার তার তথ্য ও সেবা সমূহ মোবাইল অ্যাপ্্স এর মাধ্যমে জণগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার উদ্দেশ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্দেশ্যে মোবাইল অ্যাপস তৈরির জন্য এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ১৭টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও ৭টি বিভাগে মোবাইল অ্যাপস ব্যবহারের ব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণার্থী ও বিভিন্ন মহলের ফিডব্যাক গ্রহণ করার জন্য দেশের ৭টি বিভাগে ৭টি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় উপাচার্য্য তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সুফল সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি আরও বলেন তথ্য প্রযুক্তি প্রসার বিভিন্ন ভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ উদ্যোগ একটি মাইলফলক হিসেবে ভুমিকা রাখবে।
অন্যান্য বক্তারাও বর্তমান বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তির প্রসার এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। ইএটিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুবিন খান তার বক্তৃতায় বলেন ২০১৩ সালে মোবাইল অ্যাপস গ্লোবাল জিডিপিতে ২৯.৫ বিলিয়ন ডলার অবদান রেখেছে যা বিশ্বের সমগ্র মোবাইল অ্যাপস ইকো সিষ্টেমের ৩.৪%। আশা করা যাছে ২০২০ সালে এ খাতে অর্জিত রেভিনিউ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমান সময়ে পৃথিবিতে প্রতি সেকেন্ডে ৪.৩ টি বেবি জন্মগ্রহণ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীতে ১৭টি এনড্রয়েড ফোন একটিভেটেড হয়। এ থেকে অনুমান করা যায় এনড্রয়েড ফোন কি দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন আগামী পাঁচ বছরে ক্রমাবর্ধমান মোবাইল অ্যাপসের চাহিদা মেটাতে পৃথিবীতে প্রায় ২৬ লাখ এর মত মোবাইল অ্যাপস নির্মাতার প্রয়োজন পরবে। আমরা দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট সংগঠন সমূহের সহযোগিতায় প্রায় ১লাখ অ্যাপস নির্মাতা গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি যা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে বদলে দেবে। কাজেই পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে এ প্রযুক্তিকে আয়ত্তে আনতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মই আগামী দিনের পৃথিবীকে বদলে দেবে।
সভাপতির ভাষণে কর্মসূচি পরিচালক জি. ফকরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন মোবাইল অ্যাপ্সের মাধ্যমে সরকারের তথ্য ও সেবা সমূহ জণগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য অনেকগুলো কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বিশেষ করে এ কর্মসূচির অধিনে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা আরও মোবাইল অ্যাপস তৈরিতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। আমাদের আগামী প্রজন্ম মোবাইল অ্যাপস তৈরির মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে যা দেশের জাতীয় অর্থনিতিতে বড় ধরনের অবদান রাখবে।

  • Blogger Comments
  • Facebook Comments

0 comments:

Post a Comment

Item Reviewed: গ্লোবাল জিডিপি'তে অবদান রেখেছে মোবাইল অ্যাপস Rating: 5 Reviewed By: Unknown