![]() |
শিল্পায়ন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে হাইটেক পার্ক স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে |
দীর্ঘ প্রতিক্ষীত কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাথে সামিটটেকনোপলিস লি.এর কনসেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার বিকেলে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং সামিট টেকনোপলিস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা খান নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি,গেস্ট অফ অনার ছিলেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আজিজ খান। স্বাগত বক্তব্য ও পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এমডি হোসনে আরা বেগম এবং সামিট টেকনোপলিস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা খান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নসরুল হামিদ বিপু এমপি বলেন, কালিয়াকৈর হাই-টেক পার্ক প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে সুযোগের দুয়ার খুলে দেবে। এটি হবে সরকারি ও বেসরকারী উদ্যোগের একটি সফল রূপায়ন। ১৯৯৯ সালে তৎকালিন আওয়ামীলীগ সরকার প্রথম হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় যা বর্তমান সরকারের আমলে বাস্তবে রূপ লাভ করছে। হাই-টেক পার্ক দেশের অর্থনেতিক অগ্রগতিতেও বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, হাইটেক পার্ক আমাদের স্বপ্ন-সাধ। দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার অবশেষ অবসান। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বগ্রহণের পর হাই-টেক পার্কের দ্বার উন্মোচন ছিল তাঁর অগ্রাধিকার প্রাপ্ত একটি বিষয়। শিল্পায়ন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে হাই-টেক পার্ক স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে তিনি আকাঙ্খা প্রকাশ করেন। সভাপতির ভাষণে আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লবের এ সময়ে হাই-টেক পার্ক দেশের শিল্পায়নে প্রাণ সঞ্চার করবে। পার্কে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগ তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রাযাত্রাকে আরও ত্বরান্বিত করবে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের মধ্যে দিয়ে এ পার্কের বাস্তবায়ন সম্মিলিত প্রয়াসেদেশের উন্নতিতে অনুকরণীয় হিসেবে বিবেচিত হবে যা অন্যান্য ক্ষেত্রেও অনুরসরণীয় হবে।
হাই-টেক পার্কের এমডি হোসনে আরা বেগম তার প্রেজেন্টেশনে জানান, ২৩২ একর জমির এ পার্কটিকে ৫টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। সামিট টেকনোপলিসও ইনফিনিটি ইনফোসিস ২ এবং ৫ নং ব্লকের উন্নয়ন করবে। ব্লক ২ ও ৫ এ জমির পরিমান যথাক্রমে ৬২ ও ২৯ একর। চুক্তি অনুযায়ী সামিট টেকনোপলিস এ দুটি ব্লকে ২০৭.৫৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। ২ নং ব্লকে মাল্টি টেনেন্ট বিল্ডিং, কনভেনশন সেন্টার, হোটেল, কাস্টম ইনফ্রাস্টাকচার, ওয়্যার হাউজ এবং শিল্প এলাকার উন্নয়ন করা হবে। ৫ নং ব্লকে পার্ক শিল্প এলাকার উন্নয়ন ছাড়াও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। সরকার ও সামিটের মধ্যে এ চুক্তির মেয়াদ ৪০ বছর যা পরবর্তীতে আরও ২০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে। ২৩২ একরের এ পার্কের ৯৮.৯ একর ভূমি আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী রোড এবং উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বাকী ১৪.৫১ মিলিয়ন বর্গফুট এলাকা বাণিজ্যিক, আবাসিক ও অনান্য প্রয়োজনে ব্যবহৃত হবে। অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কুটনীতিক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
0 comments:
Post a Comment