![]() |
শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তি কর্মকর্তা-২০১৪ সম্মাননা পেলেন তপন কান্তি সরকার |
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি মন্ত্রনালয় ও কম্পিউটার সমিতির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আইসিটি এক্সপো-২০১৫ যার উদ্ভোধন করেন রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ।
মেলায় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় এই প্রথম বারের মত ব্যক্তি পর্যায়ে যাদের গতিশীল নেতৃত্বে আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমানে কাজ করছেন তাদেরকে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই বছর সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও এনসিসি ব্যাংকের সিটিও তপন কান্তি সরকারকে বেস্ট সিটিও-২০১৪ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
তপন কান্তি সরকার সাশ্রয়ী উদ্ভাবনী কৌশল, কার্যকরী নেতৃত্ব, তথ্য-প্রযুক্তির কৌশল দ্বারা ব্যবসার উন্নয়ন, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং, প্রসেস অটোমেশন, আইটি নিরাপত্তা নীতি, সার্ভিস ডেলিভারি, ক্লাউড কম্পিউটিং, আইটি অবকাঠামো উন্নয়নে বিগত ৩৫ বছর ধরে দক্ষতার সাথে কাজ করছেন।তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতককোত্তার ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি আমেরিকা থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে এম এস ডিগ্রি সম্পন্ন করে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন এবং এই কমিউনিটির সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। তিনি ১৯৮০ সালে স্কুইব নামক একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ম্যানেজম্যান্ট ট্রেইনি আফিসার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রেও কাজ করেন। এরপর তিনি বেক্সিমকো গ্রুপে এমআইএস ম্যানেজার ও আইএফআইসি ব্যাংকে প্রধান তথ্য প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং বর্তমানে এনসিসি ব্যাংকের চিফ টেকনোলজি আফিসার (সিটিও) হিসেবে কাজ করছেন।
তপন কান্তি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফট, আইবিএম ও ডিজিটাল ইকোইপমেন্ট কর্পোরেশনে আইসিটির উপর প্রফেশনাল সার্টিফিকেট অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি সিঙ্গাপুরের নোভেল, জাপানের এওটিএস থেকে আইসিটি ইনোভেশন ইন ব্যাংকিং, ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের উপর সার্টিফিকেট অর্জন করেন, যা তাকে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা ও নেতৃত্বে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করেছে। তিনি অ্যামেরিকান কম্পিউটার সোসাইটি, ইউকে কম্পিউটার অ্যান্ড ল’ এবং সার্ক সিটিও ফোরামে একজন সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে তার উপস্থাপনাও দেশ বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে। তিনি ইতোমধ্যেই এন্টারপ্রাইজ সিকিউরিটি, অনলাইন ফ্রড প্রিভেনশন, ইনফরমেশন সিকিউরিটি অডিট অ্যান্ড কন্ট্রোল, ইলেক্ট্রনিক ব্যাংকিং ইত্যাদি বিষয়ে দেশে বিদেশে মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করে সুনাম অর্জন করেন।
তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সাথে কাজ করছেন। তিনি আইসিটি মন্ত্রনালয়ের অধীনে আইসিটি পলিসি, আইসিটি সিকিউরিটি পলিসি, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার ও হাই স্পিড ডাটা কমিউনিকেশন ইন বাংলাদেশ কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাইজ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত প্রজেক্টে টেকনিক্যাল ইভাল্যুশন কমিটির সদস্য হিসাবে যুক্ত রয়েছেন। বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে ই-কমার্স ইন বাংলাদেশ কমিটির সাথেও তিনি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত আছেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে সার্কভূক্ত দেশগুলোকে নিয়ে প্রথম সিআইও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া কয়েক মাস আগে সিটিও ফোরামের সাথে ভারতের ইনফোকম ৫ দেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের নিয়ে ঢাকায় একটি টেক সামিটের আয়োজন করেছে যা ছিলো তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন । একে অন্যের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে এবং ব্যাংকিং খাতে নিত্য-নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ফোরামের সদস্যদের আন্ত আলোচনাসহ সিটিও ফোরামকে একটি বিশেষজ্ঞ সংগঠনের পরিণত করতে তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ব্যাংকিং কার্যক্রমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আরো ভাল ফলাফল পেতে প্রায়ই তার নেতৃত্বে সিটিও ফোরাম বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করছে।
0 comments:
Post a Comment