
বর্তমানে আমাদের “বাংলাদেশ” ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অনলাইনে এমন অনেক কাজ আছে যেগুলো আপনি অনেক সহজেই করতে বা শিখতে পারবেন। কাজগুলো সেখার জন্য আপনার প্রয়োজন কম্পিউটার চালানোর মোটামুটি দক্ষতা। এমন অনেক কাজের মধ্যে একটি জনপ্রিয় কাজ হল অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।কি এই অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং?এক কথায় অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল, অনলাইনে কোন ভোক্তা বা ক্রেতার কাছে তার পছন্দের পণ্যটি বিক্রি করার মাধ্যমে সেখান থেকে কিছু কমিশন আদায় করা। পণ্য ভেদে অ্যামাজন ৪% থেকে ৮% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকে।অর্থাৎ অ্যামাজন থেকে যদি আপনি একটি ১০০ ডলারের প্রোডাক্ট বিক্রি করেন তবে সেখান থেকে আপনি সর্বচ্চ ৮ ডলার পর্যন্ত কমিশন পাবেন।অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি দরকার?কাজটি করতে হলে আপনাকে মূলত একটি রিভিউ বেজ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে রিভিউ আর্টিকেল লিখা থাকবে। যখন কোন ভিজিটর আপনার লিখা পছন্দ করে আপনার দেয়া লিংক ধরে গিয়ে কোন প্রোডাক্ট কিনবে তখন আপনি উক্ত প্রোডাক্টের কমিশন পেয়ে যাবেন।আবার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও কাজটি করা সম্ভব। কিভাবে? আপনাকে কিছু ইমেইল লিস্ট যোগার করতে হবে এবং তাদের কাছে আপনার বাছাই করা প্রোডাক্টের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে একটি মেইল করতে হবে। উক্ত ইউজার যখন আপনার মেইল টি পরে প্রোডাক্টটি কিনতে আগ্রহী হবে বা কিনবে সাথে সাথে আপনি সেটির কমিশন পেয়ে যাবেন।অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা-অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার প্রধান সুবিধা হল এর কনভার্সন রেট। অ্যামাজনের কোন প্রোডাক্ট সেল করার জন্য খুব বেশী কষ্ট করতে হয়না। মোটামুটি গ্রাহককে বুঝিয়ে অ্যামাজন ওয়েবসাইটে ট্রান্সফার করতে পারলেই হল। সে ঠিকই সেটি কিনবে, এর অন্যতম কারন হল বিশ্বস্ততা। বহির্বিশ্বে প্রায় সবাই অ্যামাজনকে এক নামে চিনে এবং বর্তমানে অ্যামাজন বিশ্বের ১ নম্বর ই-কমার্স ওয়েবসাইট।একটি জরীপে দেখা গেছে যে, শতকরা প্রায় ৫১ ভাগ মানুষ এখন অনলাইনে কেনাকাটা করে। আর তাই এক্ষেত্রে আপনারও অনেক সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।
0 comments:
Post a Comment