সকল দেশেই গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি দিয়ে গোয়েন্দা গিরি করা যায়। তা অনেকেই ব্যবহার করতে জানে না। কিন্তু এ ব্যবহার করেছে চীন।তার তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতের সামরিক বাহিনীর উপর গোয়েন্দাগিরি করেছিল। তবে এ ব্যাপারে অনেকের মধ্যেই কানাঘুষা ছিল, তবে ঘোষিত কোনো প্রমাণ ছিল না।এখন সে রকমই একগুচ্ছ তথ্য জনসমক্ষে তুলে ধরেছে সিঙ্গাপুরের একটি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা।ফায়ার আই নামক সংস্থাটি জানিয়েছে, গত এত দশক ধরে ভারতের বিভিন্ন সামরিক অফিসার, মিলিটারি বেস, এরোস্পেস, নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষা বিভাগের উপর গোয়েন্দাগিরি করছে চীন।এর স্বপক্ষে জোরালো তথ্য প্রমাণ পেশ করেছে তারা। 'APT30' নামেই এই বিশেষ কাজ চালানো হতো। সিঙ্গাপুরে অবস্থিত সার্ভারের সাহায্যেই এই কাজ চালাত বলে জানা গিয়েছে।কিভাবে কাজটি করত তারা? সংস্থাটি জানিয়েছে, সেনা, এয়ারফোর্স এবং নৌসেনার গুরুত্বপূর্ণ অফিসার এবং বিভিন্ন সংস্থা যারা সামরিক কাজে ভারতকে সাহায্য করে, তাদের কম্পিউটারে 'বাগ' পাঠানো হতো।বিভিন্ন প্রলোভনমূলক মেল সেই সব ব্যক্তি বা সংস্থার অফিসে পাঠানো হতো। যদি সেই মেইল খোলা হতো, তাহলেই আপনাআপনি সেই 'বাগ' কম্পিউটারের সিস্টেমে ঢুকে যেত।যাতে সহজে ধরা না, সেটি ডকুমেন্টস ফাইলের মধ্যে নিজেকে লুকিয়ে রাখত। এর কিছু দিন পর থেকেই ওই কম্পিউটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য চীনে পাচার করতযে কম্পিউটারে বাগটি বাসা বাঁধত, শুধু সেই কম্পিউটারই নয়, তার নেটওয়ার্কে থাকা সমস্ত কম্পিউটারে ঢুকে যেত সেটি। প্রত্যেক ব্যক্তি বা সংস্থার জন্য ভিন্ন ধরনের মেল পাঠানো হতো, যাতে সেটিকে স্প্যাম বা ভাইরাস বলে সন্দেহ না হয়। সংস্থার কর্তা ব্যক্তি বা সামরিক অফিসারদের কথাবার্তা এবং মেসেজ দেখার জন্যেও বিভিন্ন টেলিকম সংস্থার সার্ভারেও হানা দিয়েছে চীন।শুধু ভারতই নয়, নেপাল এবং ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির উপরও একইভাবে নজর রাখে চীন। এই দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন রয়েছে, ভারত এখানে কোনো গোপন মিলিটারি বেস বানাচ্ছে কিনা, এগুলো জানতেই এমনটা করত বলে জানা গিয়েছে।
Sunday, 24 May 2015
- Blogger Comments
- Facebook Comments
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment