![]() |
প্রযুক্তিবিদদের জন্য তহবিল হচ্ছে |
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও প্রকৌশলদের অংশগ্রহণের জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদানে বিডিনগ থেকে একটি অর্থ তহবিল গঠনের চেষ্টা চলছে। বিডিনগের তৃতীয় সম্মেলনে বিডিনগের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাব্বির এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক
ইনু। তিনি জানান, ইন্টারনেট ব্যবহারকে মৌলিক অধিকার
হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ। ইন্টারনেটকে সবার জন্য সম-অধিকার হিসেবে
প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, “বৈষম্য ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইন্টারনেটের দরকার। আর এর নিরপত্তা
দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। ইন্টারনেট হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য নয় আমরা বাংলাদেশকে
একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই। এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হলে সকল
পেশার মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে হবে।”
তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনের পেশাদার কর্মীদের নিয়ে রাজধানী
ঢাকায় চলছে তৃতীয় বিডিনগ সম্মেলন। সম্মেলনের অংশ হিসাবে মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর
ব্র্যাক সেন্টার ইনে টেলিকম ও আইএসপি প্রকৌশলীদের জন্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অ্যাডভ্যান্স রাউটিং এন্ড বিজিপি, আইপি টেলিফোনি,
লিনাক্স সিস্টেম এডমিন এন্ড নেটওয়ার্ক সহ বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি
কর্মশালা। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত চলবে এ সম্মেলন। এর আগে গত বছরের ১৯-২৪ মে ঢাকায়
প্রথম সম্মেলন এবং ১১-১৫ নভেম্বর কক্সবাজারে দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার
রাতে তৃতীয় বিডিনগ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এশিয়া-প্যাসেফিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (বিডিআইএক্স) এর
চেয়ারম্যান অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন
ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস এন্ড নাম্বারস (আইক্যান) এর হেড অফ
সিকিউরিটি, স্ট্যাবেলিটি এন্ড রিসিলিয়েন্স জন
ক্রেইন, আইএসপি এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সভাপতি
এম এ হাকিম, বিডিনগ সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, সভাপতি নুরুল ইসলাম রোমান এবং বিডিনগ বোর্ড অফ ট্রাস্ট্রির চেয়ারম্যান
সুমন আহমেদ সাব্বির।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের মতো দেশের অনেক ইন্টারনেট প্রফেশনালস
দরকার। বিডিনগের এ ধরনের সম্মেলন ও ট্রেনিং স্থাণীয় প্রকৌশলীদের আরো যুগোপযুগী হতে
সহায়তা করবে।” তিনি আশা প্রকাশ
করে বলেন, “এ ধরনের সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা
দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও আন্তর্জাতিক মানের প্রকৗশলী পাঠাতে সক্ষম হবো।”
ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড
নাম্বারসের (আইক্যান) হেড অফ সিকিউরিটি, স্টাবিলিটি
অ্যান্ড রিসিলিয়েন্স জন ক্রেইন বলেন, “ইন্টারনেট বর্তমান পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছে। সরকার ও সিভিল সোসাইটি এবং টেকনিকাল কমিউনিটি
একসঙ্গে কাজ করলে বিডিনগের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ইন্টারনেটের ব্যবস্থায় ব্যাপক
ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।” এক্ষেত্রে সরকার,
সিভিল সোসাইটি এবং টেকনিক্যাল কমিউনিটি এক সাথে কাজ করার ওপর
গুরুত্ব দেন তিনি।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ
বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, “বিডিনগের এবারের আয়োজনে সহ-আয়োজক হিসাবে দায়িত্ব পালন
করছে আইএসপিএবি। সহযোগিতায় রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের সম্মেলনে সরকারের
সহযোগিতা ও অংশগ্রহন বাড়লে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবি ও প্রকৌশলীরা আরো বেশি
উপকৃত হবে। ভবিষ্যতে বিডিগনের কার্যক্রমে আইএসপিএবি সকল প্রকার সমর্থন প্রদান করবে
বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।”
বিডিনগ সভাপতি নুরুল ইসলাম রোমান বলেন, “বিডিনগ প্রত্যেক বছর নিয়মিতভাবে দুটি সম্মেলন আয়োজন
করবে। একটি ঢাকায় এবং একটি ঢাকার বাইরে অন্য কোন শহরে। এই ধারাবাহিকতায় আমাদের
চতুর্থ বিডিনগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এই বছরের নভেম্বরে সিলেটে।” তিনি বলেন, “এই সম্মেলনগুলোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিডিনগ সদস্যদের নিজেদের মধ্যে জ্ঞান ও
অভিজ্ঞতা বিনিময়, বিভিন্ন অপারেশনাল রিসার্চ সম্পাদন,
স্থানীয় আইসিটি ট্যালেন্টদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রমোট করা এবং
বাংলাদেশের জন্য গ্রহনযোগ্য ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করতে সহায়তা করা।”
0 comments:
Post a Comment