প্রথমে একটু প্রশংসা না করে পারছি না। চাইনা আজ প্রযুক্তিতে এতো দূর এগিয়ে গেছে ভাবতেই অবাক লাগে। চিন্তা করুন তারা হুবহু নকল ডিম তৈরি করে দেখাচ্ছে। যা কিনা প্রথম দেখায় ধরতে পারা প্রায় অসম্ভব। ভয়াবহ এই খবরটি সবার আগে প্রকাশ করে ইউএসএ ভিত্তিক একটি পত্রিকা সংগঠন “দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি” চাইনাতে নাকি সেই ২০০৪ সাল থেকেই বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল যেমন, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন ইত্যাদি ব্যবহারের করে নকল ডিম তৈরি করা হচ্ছে যাকিনা মানব দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন যাবত এই ডিম খেলে আপনার কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া সহ অকাল মৃত্যুও ঘটতে পারে।
গত প্রায় কয়েক বছর ধরে দেশের সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে এই ডিম ঢুকে পড়ছে। আর চোরাকারবারিরা এই কাজে ব্যবহার করছে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার কে। এর আগে আমরা এই খবরটিকে ভিত্তিহীন বা গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও এখন আর গুজবের পর্যায়ে নেই।
আপনি যদি না জেনে থাকেন তবে এখনি জেনে নিন, নকল ডিম চেনার সবথেকে কার্যকরী উপায় (ভিডিও)-
১। স্বাভাবিক ভাবেই দেখবেন নকল ডিম আসল ডিমের থেকে একটু বড় হবে। এবং যদি এটিকে সিদ্ধ করতে যান তবে দেখবেন সিদ্ধ করার পর এটির কুসুম একেবারে বর্নহীন হয়ে যাবে।
২। সবথেকে কার্যকরী উপায় হল, খেয়াল করেন, আপনি যখন একটি আসল ডিম ভেঙ্গে করাই এর উপরে দিবেন তখন দেখবেন এটির কুসুম ছড়িয়ে না পরে একই জায়গায় থাকবে। কিন্তু নকল ডিমে এমনটি হবে না। আপনি যখনি কোন নকল ডিম এভাবে করার চেষ্টা করবেন তখন দেখবেন এটির কুসুম চারিদিকে ছড়িয়ে পরবে।

৩। নকল ডিমের চাপ সহ্য ক্ষমতা অনেক কম। আপনি আলতো করে চাপ দিলেই এটি ভেঙ্গে যাবে।
৪। ডিম গুলো রান্না করার পরে দেখবেন এটি থেকে কেমন জানি একটা বাজে গন্ধ ছড়াবে। অথবা কোন রকম গন্ধই থাকবে না।
৫। মজার ব্যপার হল, আপনি যখন এটি দিয়ে কেক বা পুডিং তৈরি করার চেষ্টা করবেন তখন দেখবেন সেটি সম্ভব হবে না। কারন এটি তো ডিমের উপাদান হিসেবে কাজই করবে না।
৬। নকল ডিম একটু লম্বা আকৃতির হবে। আর রান্না করার পর এটির কুসুম না ভাঙ্গার কারন হল এর ভেতরকার কেমিক্যাল। আর কুসুমের সাদও হবে খুবই বিশ্রী।
0 comments:
Post a Comment