![]() |
বাংলাদেশ পালন হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস |
আন্তর্জাতিক টেলিকম সংস্থা আইটিইউ-এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস। তবে বাংলাদেশ আরও বড় আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এ দিবস পালন করছে। এ উপলক্ষ্যে আজ রোববার বিটিআরসি এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান- বিটিআরসি, বিটিসিএল, টেলিটক, সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, টেশিস, কেবল শিল্প সংস্থা এবং বিভিন্ন বেসরকারি মোবাইল অপারেটরসহ টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের সহযোগিতা করবে। সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, টেলিযোগাযোগের সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ দিয়ে আমরা মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবো। এর মধ্য দিয়ে প্রযুক্তির বিভিন্ন সেবা ও নতুন উদ্ভাবন
সম্পর্কে পরিচিত ও সচেতন করে তোলা এবং জনগণের অংশগ্রহণ ও ডিজিটাল বৈষম হ্রাসে উদ্যোগ গ্রহণ করা। দিবসটি উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর একটি স্মারক ডাক টিকেট অবমুক্ত করবে বলে জানান ফয়জুর রহমান। অনলাইন রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হবে। সন্ধ্যায় টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি বিশেষজ্ঞগণের অংশগ্রহণে বিআইসিসিতে চারটি বিষয়ের উপর এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থাপিত নিবন্ধের উপর বিস্তারিত আলোচনা করবেন অ্যামটবের সেক্রেটারি জেনারেল টিআইএম নুরুল কবির। দিবসের প্রতিপাদ্যের সংগে সমন্বয় রেখে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে একটি রোড শো ও র্যালি এবং রাতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রোব ও সোমবার বেতার ও বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল টক-শো ও বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে বলে জানানো হয়।
১৮৬৫ সালের ১৭ মে ইন্টারন্যাশনাল টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রতিষ্ঠার পর ১৭ মে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৩৪ সালে এটি আইটিইউ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন নাম ধারণ করে। ২০০৬ সালের আইটিইউ’র সম্মেলনে দিবসটিকে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে বিশ্বের ১৯৩টি দেশ আইটিইউ’র সদস্য। আর এর কাউন্সিল সদস্য বাংলাদেশ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সোমবার প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসসিসি) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) ১৫০ বছর পূর্তির উদ্বোধন
করবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে।
0 comments:
Post a Comment