বিখ্যাত লেখক মার্কটোয়েইনের সংগ্রহে ছিলো প্রচুর বই। তবে আশ্চর্যজনকভাবে বেশিরভাগে বই তার ঘরজুড়ে ছড়ানো ছিটানো অথবা স্তুপ করে রাখা থাকতো। মার্ক টোয়েইনের একজন গুণমুগ্ধ তাঁকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলো কেন তিনি তাঁর বই গুলো শেলফে সাজিয়ে নারেখে এভাবে রেখেছেন। লেখকের জবাব ছিলো, “যেভাবে বইগুলো জোগাড় করা হয়েছে, একই ভাবে শেলফ জোগাড় করা সম্ভব নয়।”
বাংলাদেশে বইপড়াকে সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বানানোর আন্দোলন চলছে বেশ জোরেশোরে। প্রতি বছরই বাড়ছে এর ব্যপ্তি। ছড়িয়ে পড়ছে নানাভাবে। নানা মাধ্যমে। প্রতিবছর বইমেলাতে প্রতিদিন মানুষের ঢলনামে। প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহের জন্য বইয়ের দোকান গুলোতে এখনও ভীড় জমেযায়। বই এর বিক্রিও বাড়ছে প্রতিবছরই। বইপড়া যেন বাঙালীর সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। বইপড়ার আরেকটা জনপ্রিয় স্থান ছিলো পাঠাগার। মফস্বল শহরে কোন হৃদয়বান পৃষ্ঠপোষক কিংবা স্থানীয়দের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠতো পাঠাগার। বিকেল সন্ধ্যায় জায়গাটা হয়ে উঠতো মিলন মেলায়। আর বড় শহর গুলোতে, বড় বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতের গড়ে উঠে ছিলো পাঠাগার। আর পাঠাগার গুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিলো বইপড়ার সংস্কৃতি। ছোট বেলায় হয়তো বইপড়ার অভ্যেস ছিলো, কাজের চাপে এখন আর পড়া হয়ে ওঠেনা। কিন্তু ভালো বই পেলে ছোঁ মেরে একটু উল্টেপাল্টে দেখার অভ্যাস কি যাবে কখনও?
নাগরিক ব্যস্ততায় বইপড়ার সময় কিছুটা সংকুচিত হয়েছে সন্দেহ নেই, তবে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আবার অনেক নতুন সুযোগ সুবিধাও তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তির অগ্রগতিতে বই এখন আর কাগজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বেশ কিছু দিন থেকেই বই এর জগতে পরিবর্তনের একটা বাতা সবইছে এবং নতুন পুরোনো সব বইই ই-বুক হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে। আর অনেকেই কাগজের বই এর বদলে ডিজিটাল বই পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন বেশি।
বাংলাদেশেও তথ্য-প্রযুক্তি বেশ বিস্তার লাভ করেছে। শহরের অনেক ঘরেই এখন ল্যাপটপ-ডেক্সটপ কম্পিউটার পৌছে গেছে। অনেক শিক্ষার্থীদের হাতে দেখা যাচ্ছে ট্যাবলেট কম্পিউটার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মুঠোফোনের মাধ্যমে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সেবা। ফলে এদেশেও আলোচনায় উঠে আসছে ডিজিটাল বই এবং বইপড়ার ব্যবস্থা। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, ই-বুকরিডার এবং সাম্প্রতিক সময়ের মোবাইল ফোন সেট গুলো ইলেকট্রনিক বইপড়াটাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। হাতের স্মার্টফোনটি হয়ে গেছে এক একটি নিজস্ব পাঠাগার। যেখানে রাখা যাচ্ছে হাজার হাজার বই। পড়ার সুযোগ থাকছে যখন খুশি, যেখানে খুশি। আর কেউ ধার চাইলেও সমস্যা নেই। শেয়ার-উইথের মাধ্যমে যত বার ইচ্ছে ধার দেওয়া যাবে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইপড়ার অভ্যাস জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছে। বইপড়া কর্মসূচী আর ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার নিয়ে তারা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
তবে এখানেই তারা থেমে নেই। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র শুরু করেছে অনলাইন বইপড়া কর্মসূচি। গ্রামীনফোনের সার্বিক সহযোগিতায় কেন্দ্রের নিজস্ব প্রকাশনার ও বইপড়া কর্মসূচির নির্বাচিত কিছু বই নিয়ে অনলাইনে আলোর পাঠশালা’নামে বইপড়া কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি সকলের জন্য উন্মুক্ত। এছাড়া বইপড়াকে উৎসাহিত করার জন্য রয়েছে পুরস্কারের ব্যবস্থা। পুরস্কার হিসাবেও দেয়া হয় বই। আগ্রহী যে কেউ সদস্য হয়ে বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যারা সদস্য হবেন তারা খুব সহজেই এই সাইট থেকে বিনা মূল্যে বইগুলো ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। এ পরিবর্তিত সময়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইন্টারনেট কেন্দ্রিক বা প্রযুক্তি নির্ভর পাঠকবৃন্দের জন্য সংযোজন করছে ই-লাইব্রেরি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সকল বই নিয়ে গ্রামীনফোনের সহযোগিতায় সাথে থাকছে আলোর পাঠশালা”মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আলোর পাঠশালার সকল বই বিনা মূল্যে সরাসরি যে কেউ ইন্টারনেটযুক্ত স্মার্টফোন বা ট্যাবে সংরক্ষণ এবং পড়তে পারবেন। তারপর আর বইপড়ার জন্য ইন্টারনেট কানেকটিভিটির প্রয়োজন হবে না। অফ লাইনে থেকে ডাউনলোড করা সকল বই পড়া যাবে।
গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বা ট্যাবে বিনামূল্যের এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে বইপড়া যাচ্ছে। খুব অচিরেই আইফোন এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত ফোনেও এ ইসুবিধা পাওয়া যাবে। অ্যাপ্লিকেশনটিতে বুক মার্ক, হাইলাইটার, পেজজাম্প, বুক রেটিং এর মত ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে যা স্মার্টফোনে বই পড়তে বাড়তি সুবিধা দেবে। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করে একজন পাঠকের তার ভালো লাগা বইটি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। অ্যাপ্লিকেশনটি উদ্বোধনের পর থেকে ভালই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। 'আলোর পাঠশালা'র এপর্যন্ত ৯২০০ জন সদস্য হয়েছেন। অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করেছেন প্রায় ৫০০০ জন মোবাইল ইউজার। 'আলোর পাঠশালা'র সাইটে বর্তমানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রকাশিত ও বিভিন্ন কর্মসূচির ১৬০ টি বই সংযুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই অ্যাপ্লিকেশনটির ব্যাপ্তি আরো বাড়ানো হবে ও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে। অ্যাপ এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে সকলের হাতের নাগালে একটি সমৃদ্ধ ই-লাইব্রেরি গড়ে উঠবে যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
alorpathshala.org এবং গ্রামীণফোনের অ্যাপস্টোর (wap.gpstore.co) থেকে এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যাবে। উদ্যোগটি নতুন। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে যেপরিমান সাড়া পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে অনলাইনে বইপড়ার অভ্যাসটা বেশ জেঁকে বসবে। এই আন্দোলনের পুরোটা জুড়ে যিনি রয়েছেন তিনি সবার প্রিয় স্যার আব্দুল্লাহ আবু সাইদ। বললেন-বইপড়াকে কোথাও আটকে রাখা যাবে না। ধরে রাখা যাবে না কোন সীমাবদ্ধ মাধ্যমে। ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মধ্যে সবার সুবিধা মতো। তিনি আরো বলেন –উদ্দেশ্য একটিই। আর তাহলো বইয়ের মাধ্যমে আলো ছ ড়িয়ে দেয়া। আর এবার আলো ছড়াবে ইন্টারনেট। বই পড়ুয়াদের মাঝে একটা বিশাল অংশই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বিভিন্ন কারণে। ইন্টারনেটে বইপড়া সুযোগ রাখা তাদের আলোকিত করতেই।
গ্রামীণফোনও এ উদ্যোগের সাথে একমত। তাদেরও আগ্রহের কমতি নেই। তারা সবার জন্য ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আর গ্রাহকদের জন্য বাংলা ভাষায় নতুন নতুন কনটেন্ট তৈরিতে সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। অনলাইনে বইপড়া বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করবে। এটি একই সাথে ইন্টারনেটে ব্যবহারের চাহিদা বাড়াতে অবদান রাখবে বলে প্রতিষ্ঠানটির ধারণা। গ্রামীণফোনের হেড অব ইন্টারনাল কমিউনিক্যাশনস সৈয়দ তালাত কামাল বলেন আমরা ইন্টারনেটভিত্তিক আরো বেশি সেবা দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক ক্ষমতায়ন। বইপড়া উদ্যেগটি নি:সন্দেহে আমাদের সমাজকে আলোকিত করবে। জ্ঞানের কোন বিকল্প শক্তি নেই।
বাংলাদেশে বইপড়াকে সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বানানোর আন্দোলন চলছে বেশ জোরেশোরে। প্রতি বছরই বাড়ছে এর ব্যপ্তি। ছড়িয়ে পড়ছে নানাভাবে। নানা মাধ্যমে। প্রতিবছর বইমেলাতে প্রতিদিন মানুষের ঢলনামে। প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহের জন্য বইয়ের দোকান গুলোতে এখনও ভীড় জমেযায়। বই এর বিক্রিও বাড়ছে প্রতিবছরই। বইপড়া যেন বাঙালীর সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। বইপড়ার আরেকটা জনপ্রিয় স্থান ছিলো পাঠাগার। মফস্বল শহরে কোন হৃদয়বান পৃষ্ঠপোষক কিংবা স্থানীয়দের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠতো পাঠাগার। বিকেল সন্ধ্যায় জায়গাটা হয়ে উঠতো মিলন মেলায়। আর বড় শহর গুলোতে, বড় বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতের গড়ে উঠে ছিলো পাঠাগার। আর পাঠাগার গুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিলো বইপড়ার সংস্কৃতি। ছোট বেলায় হয়তো বইপড়ার অভ্যেস ছিলো, কাজের চাপে এখন আর পড়া হয়ে ওঠেনা। কিন্তু ভালো বই পেলে ছোঁ মেরে একটু উল্টেপাল্টে দেখার অভ্যাস কি যাবে কখনও?
নাগরিক ব্যস্ততায় বইপড়ার সময় কিছুটা সংকুচিত হয়েছে সন্দেহ নেই, তবে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আবার অনেক নতুন সুযোগ সুবিধাও তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তির অগ্রগতিতে বই এখন আর কাগজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বেশ কিছু দিন থেকেই বই এর জগতে পরিবর্তনের একটা বাতা সবইছে এবং নতুন পুরোনো সব বইই ই-বুক হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে। আর অনেকেই কাগজের বই এর বদলে ডিজিটাল বই পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন বেশি।
বাংলাদেশেও তথ্য-প্রযুক্তি বেশ বিস্তার লাভ করেছে। শহরের অনেক ঘরেই এখন ল্যাপটপ-ডেক্সটপ কম্পিউটার পৌছে গেছে। অনেক শিক্ষার্থীদের হাতে দেখা যাচ্ছে ট্যাবলেট কম্পিউটার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মুঠোফোনের মাধ্যমে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট সেবা। ফলে এদেশেও আলোচনায় উঠে আসছে ডিজিটাল বই এবং বইপড়ার ব্যবস্থা। ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার, ই-বুকরিডার এবং সাম্প্রতিক সময়ের মোবাইল ফোন সেট গুলো ইলেকট্রনিক বইপড়াটাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। হাতের স্মার্টফোনটি হয়ে গেছে এক একটি নিজস্ব পাঠাগার। যেখানে রাখা যাচ্ছে হাজার হাজার বই। পড়ার সুযোগ থাকছে যখন খুশি, যেখানে খুশি। আর কেউ ধার চাইলেও সমস্যা নেই। শেয়ার-উইথের মাধ্যমে যত বার ইচ্ছে ধার দেওয়া যাবে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইপড়ার অভ্যাস জোরদার করতে কাজ করে যাচ্ছে। বইপড়া কর্মসূচী আর ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার নিয়ে তারা ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
তবে এখানেই তারা থেমে নেই। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র শুরু করেছে অনলাইন বইপড়া কর্মসূচি। গ্রামীনফোনের সার্বিক সহযোগিতায় কেন্দ্রের নিজস্ব প্রকাশনার ও বইপড়া কর্মসূচির নির্বাচিত কিছু বই নিয়ে অনলাইনে আলোর পাঠশালা’নামে বইপড়া কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচি সকলের জন্য উন্মুক্ত। এছাড়া বইপড়াকে উৎসাহিত করার জন্য রয়েছে পুরস্কারের ব্যবস্থা। পুরস্কার হিসাবেও দেয়া হয় বই। আগ্রহী যে কেউ সদস্য হয়ে বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যারা সদস্য হবেন তারা খুব সহজেই এই সাইট থেকে বিনা মূল্যে বইগুলো ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন। এ পরিবর্তিত সময়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ইন্টারনেট কেন্দ্রিক বা প্রযুক্তি নির্ভর পাঠকবৃন্দের জন্য সংযোজন করছে ই-লাইব্রেরি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সকল বই নিয়ে গ্রামীনফোনের সহযোগিতায় সাথে থাকছে আলোর পাঠশালা”মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আলোর পাঠশালার সকল বই বিনা মূল্যে সরাসরি যে কেউ ইন্টারনেটযুক্ত স্মার্টফোন বা ট্যাবে সংরক্ষণ এবং পড়তে পারবেন। তারপর আর বইপড়ার জন্য ইন্টারনেট কানেকটিভিটির প্রয়োজন হবে না। অফ লাইনে থেকে ডাউনলোড করা সকল বই পড়া যাবে।
গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি থেকে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বা ট্যাবে বিনামূল্যের এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে বইপড়া যাচ্ছে। খুব অচিরেই আইফোন এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত ফোনেও এ ইসুবিধা পাওয়া যাবে। অ্যাপ্লিকেশনটিতে বুক মার্ক, হাইলাইটার, পেজজাম্প, বুক রেটিং এর মত ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে যা স্মার্টফোনে বই পড়তে বাড়তি সুবিধা দেবে। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট ব্যবহার করে একজন পাঠকের তার ভালো লাগা বইটি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন। অ্যাপ্লিকেশনটি উদ্বোধনের পর থেকে ভালই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। 'আলোর পাঠশালা'র এপর্যন্ত ৯২০০ জন সদস্য হয়েছেন। অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করেছেন প্রায় ৫০০০ জন মোবাইল ইউজার। 'আলোর পাঠশালা'র সাইটে বর্তমানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রকাশিত ও বিভিন্ন কর্মসূচির ১৬০ টি বই সংযুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এই অ্যাপ্লিকেশনটির ব্যাপ্তি আরো বাড়ানো হবে ও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে। অ্যাপ এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে সকলের হাতের নাগালে একটি সমৃদ্ধ ই-লাইব্রেরি গড়ে উঠবে যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
alorpathshala.org এবং গ্রামীণফোনের অ্যাপস্টোর (wap.gpstore.co) থেকে এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যাবে। উদ্যোগটি নতুন। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে যেপরিমান সাড়া পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে অনলাইনে বইপড়ার অভ্যাসটা বেশ জেঁকে বসবে। এই আন্দোলনের পুরোটা জুড়ে যিনি রয়েছেন তিনি সবার প্রিয় স্যার আব্দুল্লাহ আবু সাইদ। বললেন-বইপড়াকে কোথাও আটকে রাখা যাবে না। ধরে রাখা যাবে না কোন সীমাবদ্ধ মাধ্যমে। ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মধ্যে সবার সুবিধা মতো। তিনি আরো বলেন –উদ্দেশ্য একটিই। আর তাহলো বইয়ের মাধ্যমে আলো ছ ড়িয়ে দেয়া। আর এবার আলো ছড়াবে ইন্টারনেট। বই পড়ুয়াদের মাঝে একটা বিশাল অংশই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে বিভিন্ন কারণে। ইন্টারনেটে বইপড়া সুযোগ রাখা তাদের আলোকিত করতেই।
গ্রামীণফোনও এ উদ্যোগের সাথে একমত। তাদেরও আগ্রহের কমতি নেই। তারা সবার জন্য ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আর গ্রাহকদের জন্য বাংলা ভাষায় নতুন নতুন কনটেন্ট তৈরিতে সবাইকে উৎসাহ দিচ্ছে। অনলাইনে বইপড়া বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করবে। এটি একই সাথে ইন্টারনেটে ব্যবহারের চাহিদা বাড়াতে অবদান রাখবে বলে প্রতিষ্ঠানটির ধারণা। গ্রামীণফোনের হেড অব ইন্টারনাল কমিউনিক্যাশনস সৈয়দ তালাত কামাল বলেন আমরা ইন্টারনেটভিত্তিক আরো বেশি সেবা দিতে চাই। আমাদের লক্ষ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক ক্ষমতায়ন। বইপড়া উদ্যেগটি নি:সন্দেহে আমাদের সমাজকে আলোকিত করবে। জ্ঞানের কোন বিকল্প শক্তি নেই।
0 comments:
Post a Comment