
সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, সরকারের পাওনা ১৭০ কোটি টাকা না পরিশোধ না করায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক এবং সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা দুটি কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি সূত্র। নানকের পরিবারের মালিকানাধীন রাতুল টেলিকমের কাছে
বিটিআরসি’র রেভিনিউ শেয়ারিং এবং লাইসেন্স ফি বাবদ পাওনা ৮৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
আর শামীম ওসমানের মালিকানাধীন কে টেলিকমিউনিকেশন্সের কাছে বকেয়া ৭৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর আগে ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। পরে তা বিটিআরসিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিটিআরসির কর্মকর্তারা খবরটি নিশ্চিত করেছেন। গত দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক টেলিফোন কল আনছে না রাতুল। আর এক বছরের মতো সেবা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কে টেলিকম। রাতুল টেলিকমের ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক নানকের মেয়ে সৈয়দা আমরিন রাখি। সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী এ কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিক।
অন্যদিকে কে টেলিকমিউনিকেশন্সের মালিক শামীম ওসমানের স্ত্রী সলাম ওসমান এবং তার ছেলে ইমতিনান ওসমান। ২০১২ সালে দুটি কোম্পানি লাইসেন্স নেয় এবং এক বছরের মধ্যেই ব্যবসা গুটিয়ে ফেলে। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটর এবং আন্তসংযোগ এক্সচেঞ্জ কোম্পানিগুলোও এ দুটি কোম্পানির কাছে আরও অন্তত ৫০ কোটি টাকা পাবে। সব মিলে ২২০ কোটি টাকার বেশি পরিশোধ না করে কোম্পানি দুটি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
0 comments:
Post a Comment