আমরা মোবাইল ও কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সফার করার জন্য অথরা ডাটা ধরে রাখার জন্য পেনড্রাইভ ব্যবহার করি । কিন্তু কোন কোন সময় এ পেনড্রাইভই বিপদের কারণ হয়ে দাড়ায় । তবে যাই হোক ডেটা ট্রান্সফারের জন্য সিস্টেমের ইউএসবি পোর্টে পেনড্রাইভ ব্যবহার সহজ। আপাত দৃষ্টিতে তাই মনে হয়। আকারে সব পেনড্রাইভ ছোট শুধু পার্থক্য এর স্টোরেজ ক্ষমতায়।
আগে এবং বর্তমান সময়ে পেনড্রাইভ খুব সহজলভ্য এবং খুবই সস্তা। অনেক সময় দেখা যায় ৩২ জিবির পেনড্রাইভের মূল্য মাত্র ৭০০/৮০০ টাকা। এমন সস্তায় দেয়া পেনড্রাইভ আসলে কম্পিউটার ও মোবাইলের জন্য ক্ষতিকর । এসব পেনড্রাইভ একটি একক চিপ ব্যবহার করে নির্মিত হয় যা একটি ফার্মওয়্যার চালিত সমন্বিত চিপ। এটি আপনার কম্পিউটারের সাথে চালাকি করে আপনাকে বেশী স্টোরেজ দেখায়। আসল সত্য তখন বুঝা যায় যখন কোন ডেটা কপি করতে চায় ব্যবহারকারী। যে স্টোরেজ দেয়া থাকে সেই পরিমান ডেটা কপি হয়না।350px-Usbkey_internals
দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যায় বাজারের নির্দিষ্ট কিছু পেনড্রাইভ ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে লাগালে তা পুড়ে যায়। কারণ পেনড্রাইভ একটি শক্তিশালী সার্কিট ঘর যেখানে ভোল্টেজ দ্বিগুন হয় এবং কিছু ক্যাপাসিটর রয়েছে। পেনড্রাইভের ৫ ভোল্ট ডিসি পাওয়ার সাপ্লাই পিসি’র ইউএসবি পোর্ট দিয়ে ইন্টারনাল সার্কিটের ভোল্টেজ দ্বিগুন করে ফেলে ১১০ ভোল্ট পর্যন্ত। এই ভোল্টেজ ক্যাপাসিটরের মধ্যে সংরক্ষিত থাকে এবং অনেক সময় পর্যন্ত এই ভোল্টেজ ক্যাপাসিটর ধরে রাখতে পারে। ফলে যেকোনো সময় ব্যবহারকারীর ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ বিস্ফোরণ হতে পারে। এছাড়াও পেনড্রাইভ পকেটে রাখলে অর্থাৎ শরীরে বহন করলে তা আগুন ধরে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
তাই পরবর্তিতে যেকোন সময় সস্তায় প্রলুব্ধকর পেনড্রাইভ কেনার ব্যাপারে সতর্ক ও খেয়াল থাকতে হবে।

0 comments:
Post a Comment